জানা যায়, কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্পে ৯টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। এর প্রতিটি ব্যারাকে পাঁচটি করে মোট ৪৫টি পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, সুবিধাভোগী নির্বাচন না হওয়ায় প্রকল্পটিতে গরু ছাগল অপরিচ্ছন্ন করে ফেলছে। এমনকি এখানে স্থাপন করা নলকূপের মাথা চুরি হয়ে যাচ্ছে।
তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে দাবি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজি আক্তার বলেন, ‘বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে আমরা প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছি। ভালোভাবে যাচাইবাছাই করার পর আমরা সেখানে লোক উঠাতে পারবো। উপজেলা কমিটির অনুমোদনের পর আমরা জেলা কমিটিতে পাঠাবো। জেলা কমিটির অনুমোদনের পর সেখানে লোক উঠাতে পারবো।’
১৯৯৬ সাল থেকে ঝালকাঠি জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি উপজেলায় ১৫টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার সরকারি খাস জমিতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর মাধ্যমে নির্মাণ করা ব্যারাকের মধ্যে ১৪টিতে মোট ১১৭৬টি ভূমিহীন পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। তবে নির্মাণের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্পের ৯টি ব্যারাকে পাঁচটি করে মোট ৪৫টি পরিবারের জন্য নির্মাণ করা ব্যারাক এখনো সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এদিকে, সংস্কারের অভাবে আশ্রায়ন প্রকল্পের শুরুর সময়ে নির্মাণ করা ব্যারাকগুলো মানুষের বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ব্যারাকগুলোর টিন নষ্ট হয়ে পানি পড়ছে এবং শৌচাগারসহ অন্যান্য অবকাঠামো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঝালকাঠির বাসিন্দা ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহারী গ্রমের তিন একর জায়গা কিনে আশ্রায়ন প্রকল্পের জন্য জেলা প্রশাসনকে দান করেছিলেন। ওই জমির ১ দশমিক ৮১০ একর জয়গা জুড়ে কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এখানে ১৪০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরিশালের শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের ৭ পদাতিক ডিভিসনের ২২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৮৬০ টাকা ব্যয়ে ৯টি আধাপাকা ব্যারাক নির্মাণ করেন। কাজ শেষ করে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদের কাছে ব্যারাকগুলো হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলার আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৯টি আবাসন প্রকল্পে ১১১টি ব্যারাকে ৯৯০টি ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। নলছিটি উপজেলায় তিনটি প্রকল্পের ১৩টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবার এবং রাজাপুর উপজেলায় দুটি প্রকল্পে ১০টি ব্যরাকে ৬৬টি পরিবারকে থাকার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।